হেট্রিক চ্যাম্পিয়ন রংপুরের কাছে আত্মসমর্পণ করল

হেট্রিক চ্যাম্পিয়ন রংপুরের কাছে আত্মসমর্পণ করল 

মাশরাফিকে ঘিরেই উইকেট পাওয়ার উচ্ছ্বাস—একটু পরে সেটাও রূপ নিয়েছে শিরোপা জয়ের-উৎসবে। ক্রিস গেইল-তাণ্ডবের পরই পরেই ম্যাচের ভাগ্য নিধারণ হয়ে গিয়েছিল। বিপিএলের ইতিহাসেই ২০০ রান তাড়া করার রেকর্ড কোনো নেই, আর তো মিরপুরের এ উইকেটে! তবে এত অসহায়ত পরাজয় নিশ্চয় আশা দর্শরা।২০৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৪৯ রানে চুখেগেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৫৭ রানের বড় এক জয়েই প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসবে থমকে দাঁড়ালেন রংপুর রাইডার্স।

রাজধানী ঢাকার সম্মান রক্ষায় লড়লেন শুধু জহুরুল ইসলাম একাই। ঢাকার হেভিওয়েট ব্যাটিং লাইনআপে অসহায় হয়ে থাকা জহুরুলের কল্যাণেই ১০০ পেরোল ঢাকা। জহুরুলের ৩৮ বলে ৫০শে রানে ব্যবধানটা কিছু কমে এল। নাইলে আজ সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড হেট্রিক চ্যম্পিয়নদেরেই হতো।

অথচ ঢাকা দলে খেলোযারে অভাব নেই? জো ডেনলি, এভিন লুইস, শহীদ আফ্রিদি, কাইরন পোলার্ড কিংবা ইদানীংকালের অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন। দেশি মেহেদী মারুফ, সাকিব আল হাসান কিংবা মোসাদ্দেক তো আছেনই। এঁদের মাঝে সাকিব আল হাসান ১৬ বলে ২৬ রান করেছেন বটে, তবে সেটা পরিস্থিতির তুলনায় একেবারেই তুচ্ছ!
২০৬ তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে মারুফ বিদায় নিলেন। ১ রান পর ডেনলিও নেই। দলকে ১৯ রানে রেখে মারুফ বিদায় নিল, ক্রিস গেইল যা করেছেন (৬৯ বলে ১৪৬ রান) সেটাও গেইলর বলেই দিয়েছেন। এ পিচে রান তোলা সহজ কাজ নয়। পোলার্ড, সাকিব, মোসাদ্দেকরাও ১০ ওভারের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফিরে গোলো। আফ্রিদিও এক ছক্কা মেরে খান্ত। ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানো ঢাকা তখন ১০০ রানের নিচে অলআউট প্রয় হয় হয়।

জহুরুল নিজ দায়িত্ব নিয়ে সে যাত্রা পার করলেন বটে। নারাইনকে নিয়ে ৪২ রানের প্রয়োজন সময়ের জুটি গড়লেন। কিন্তু পঞ্চম বিপিএলের বিজয়ীদের নাম যে রংপুর রাইডার্স, সেটা জানতে জহুরুলের মাঠ ছাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি। সে মীমাংসা যে চার ওভারের মধ্যেই করে দিয়েছে ঢাকার টপ অর্ডার। নাকি আরও আগে? ক্রিস গেইলের তোলা অমন ঝড়েই তো সব তছনছ!
BD Google News/BC Sarker

0 comments