হৃদরোগের মহাঔষধ বিবাহ!

হৃদরোগে মানে আকষ্মিক মৃত্যু। তবে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে বিয়ে। 
কিছু অবিবাহিত ব্যক্তি বিয়ের কথা শুনলেই লুকিং কেমন যেন হয়ে যান। লাজুক লাজুক চাহনিতে বুকের ভেতরটা শন শন করে ওঠে। এ যেন এক অজানা রোমাঞ্চকর অনুভূতি প্রকাশ! ইয়ে সে দিল্লী কা লাড্ডু।তাই মানুষ বিয়ে করে পস্তায় আবার না করেও পস্তায়। বিষেশজ্ঞদের মতে করে পস্তানোই ভালো। আর যদি আপনি হৃদরোগে ভুগলে তো কথাই নেই। এক্ষুনি বিয়ে করুন, মৃত্যুর ঝুঁকি কমে ফেলুন ৫২ শতাংশ!

নতুন এক গবেষণা সমীক্ষায় জানা গেছে, হৃৎপিণ্ডের রোগে আক্রান্ত বিবাহিত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৫২ শতাংশ এই অবস্থার মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। অর্থৎ, মৃতুর মত খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য আরেকটি ভালো তথ্য হলো, যেকোনো কঠিন রোগে ভুগে অকালমৃত্যুর আশঙ্কাও অবিবাহিত ব্যক্তিদের তুলনায় ২৪ শতাংশ কমে যায়।

ডেকান ক্রনিকল ও মেইল অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বিয়ে হৃদরোগের বিপক্ষে কীভাবে কাজ করে, তা জেনে আশ্চার্য হয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের তথ্য মতে, বিয়ের মাধ্যমে একজন হৃদরোগী বিয়ের মাধ্যম যে সামাজিকভাবে যে সমর্থন এবং সহযোগিতা পেয়ে থাকেন, সেসব কারনে তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ একে-অপরকে দীর্ঘায়ু হবার সহযোগিতা ও সমর্থন জুগিয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যকর ব্যপারে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকেন। ঠিক যেনো মাত্র এই কারণেই বিয়ের পর যেকোনো রোগে অকালমৃত্যুর হার কমে যেতে পরে।

গবেষকগণ মোট ৬ হাজার ৫১ জন হৃদেরোগীর ওপর এ নিয়ে একটি গবেষণা সমীক্ষা চালান। এঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ, বিধবা কিংবা কখনো বিয়ে না করা ব্যক্তিকে অবিবাহিতদের এক কাতারে রাখা হয়। বাকি অংশ বিবাহিত এবং দুই অংশকেই তাঁদের জীবন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দীর্ঘ চার বছর পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা গেছে, বিবাহিত ব্যক্তিরা হৃদরোগ নিয়েই খোশ মেজাজে বেঁচে আছেন এবং তাঁদের মধ্যে ৫২ শতাংশের নতুন করে আর কোনো হার্ট অ্যাটাক হয়নি। অন্য দিকে স্বামী কিংবা স্ত্রী হারানো ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ৭১ শতাংশ বেশি লক্ষণীয় হয়েছে।

এমোরয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও লেখক আরশাদ কাইয়ুমি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হৃদরোগীদের ওপর বিয়ের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ করে আমি বিস্মিত হয়েছি। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ সামাজিক সমর্থন এবং জীবন বাঁচার আশার দরকার হয়, যা অন্যতম মাধ্যম বিয়ের মাধ্যমে ঘটে থাকে।’ যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটার হার অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চারজনে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মধ্যে মাত্র ১৭ ভাগ হৃদরোগের কারণে।

0 comments