মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির ধাক্কার বিভীষিকায় আহতরা

ধাক্কার বিভীষিকায় হতা-হত
2017-12-19
মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে যারা আহত হয়েছেন, তারা এখনও ভিড়ের চাপের বিভিষীকা সেই স্মৃতি ভুলতে পারছেন অাহত ব্যক্তিরা।

মরহুম মহিউদ্দিনের কুলখানিতে নিহত ১০ পদদলনে সংঘটিত নিহত

কুলখানিতে যেভাবে ঘটল পদদলনের ঘটনা

পদদলনে হতাহতের ঘটনার তদন্তের দিকে চেয়ে আছেন মহিউদ্দিনপুত্র

একদিন পূর্বের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহত মনোজ বড়ুয়া বলেন, “ প্রায় ২০ মিনিট আমি গেইটের সামনে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলাম। প্রচন্ড রকমের ভিড় ছিল। দরজা খুললে এগিয়ে যাওয়া মাত্রই পেছন থেকে জোরালো একটা ধাক্কা আসে।

“মাটিতে পড়তে পড়তে দেখি সামনে একটি ৮-১০ বছরের ছেলে। তাকে উঠিয়ে ধরার চেষ্টা করছিলাম। বুকে ব্যথা পাচ্ছিলাম। এরপর চোখে অন্ধকার দেখি। তারপর আর কিছু মনে নেই।”

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় মনোজের সঙ্গে, যিনি মেজবানের আয়োজন দেখতে সোমবার আশকার দীঘির পাড়ের রীমা কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের কুলখানিতে চট্টগ্রাম নগরীর ১৩টি স্থানে মেজবানের আয়োজন চলছিল।এর মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন ছিল বেশ। এই খানা ছিল যারা গোমাংস খান, তাদের জন্য।

দুপুরে তিনটি দলে খাওয়ার পর আবার গেইট খুলে ফেললে বাইরে থাকা লোকজনরা হুড়োহুড়ি করে ঢুকতে শুরু করলে অনেকেই মটিতে পড়ে পদদলনে ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন আরো ১১ জন। 

এই আহতদেরই মনোজ নামের একজন বলেন, কুলখানির আয়োজন কীভাবে হচ্ছে, তা দেখতে গিয়েছিলেন উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

ব্যাটারি মেয়র গলির বাসিন্দা মনোজ মেজবানের অন্য কয়েকটি স্থান ঘুরে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দুর্ঘটনায়  কবলে পড়েন।

তিনি আরো বলেন, “আমি জ্ঞান ফেরার পর দেখি মাটিতে পড়ে আছি। উঠে বসার পর একজন ধরে আমাকে চেয়ারে বসায়। তখন আমার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল।”

আসকার দিঘীর পাড় এলাকার জয় পাহাড় হাউজিং সোসাইটির একটি ভবনের তত্বাবধায়ক সুমন বলেন, “গেইটের কাছে ১০-১৫ জনের পেছনেই আমি ছিলাম। যখন গেট খুলছিল না তখন পেছন থেকে চাপ পর চাপ বাড়ছিল।

“দরজা খোলার পরই পেছন থেকে জোরে সোড়ে একটা ধাক্কা আসে। পাঁচ-ছয় হাত মত সামনে এগিয়ে গিয়েই আমি পড়ে যাই। আমার গায়ের উপর আরো লোকজন পড়ে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।।

“পরে জ্ঞান ফিরে আসার পর শুনি আমার গায়ের ওপর যারা পড়েছিল, তাদের দুজনের মৃত্যু হয়।”

হাতে ও বুকে ব্যথা নিয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সুমন।

আহত আরেকজন সুমন দাশ (৩৫) তিনি ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, তখনও তার চোখে-মুখে ছিল আতঙ্কের ভয়।

BD Google News/BC Sarker

0 comments