প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনা ধরা পরল প্রেস কর্মচারী

প্রেস কর্মচারী টাকার বিনীময় ফাঁস করত প্রশ্নপত্র
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, 

ঢাকার ইন্দিরা রোডে অবস্থি একটি প্রেসের এক লেবার এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস করার প্রমাণ মিলেছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত ও প্রমাণ করে ঐ কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এই প্রেসে ছাপা হতো ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩ জনকে সন্দেহ করেছে পুলিশে। এ মধ্যে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে, তিন অপরাধীকে রিমান্ডে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার অাটক রেফেছে পুলিশ।

রাজধানীর মালিবাগে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য প্রকাশ।

সিআইডি জানান, গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) বুধবার জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাইফুল ইসলামকে একজন কে। সাইফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খান বাহাদুর নামের একজনকে। তিন এই প্রেসের কর্মচারী। যার মাধ্যমে মূলত শুরু প্রশ্ন ফাঁসের সূত্রপাত।

সিআ্মইডি মল্যা বলেন, খান বাহাদুররে সঙ্গে পরিচয় ছিল সাইফুল ইসলামের। সাইফুলের সঙ্গে পরিচয় ছিল রকিবুল হাসানের। প্রধানত এই তিনজনের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়। এই তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপরাধীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। আর এ বছর এই পরীক্ষা নিয়ে ডিজিটাল প্রতরণা করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকার লেনদেন হতো।


BD Google News/BC Sarker

0 comments