রোহিঙ্গা আসার ধারা অব্যহত- নিবন্ধিত হয়েছে আট লাখেরও বেশি

আবারো নতুন করে আসছে আরও রোহিঙ্গা।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য আবারো নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাম্প। 
বারমার রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাস দমনের নামে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যা অমানবিক আচরণ থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে চলে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোপূবে আট লাখ এডিয়ে গোছে। তবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে রোহিঙ্গাদের আগমন এখনও লক্ষ করার মতো।  
১০ ডিসেম্বর রোববার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৪৭১ জন রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গারা কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের মোট ১২টি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণে র চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে এবং তাদেরকে পূর্ণবাসনের আওয়াতায় আনতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে সরকারকে এ কার্যক্রমে সহয়ক সহায়তা করে যাচ্ছে
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, চলতি বছরের ২৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন। তবে ২৫ আগস্ট রাখাইনে পূর্ণরায সেনা অভিযান শুরু হলে নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৩২০ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১২টি ক্যাম্পে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ৮ লাখ ৪৭১ জন। তবে অনুপ্রবেশের বিষয়টি অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছেই। 

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বারমার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগতভাবে ঢংশের লক্ষে অভিযান ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৬ লাখ ৮০ হাজার মানুষ পালিয়ে এসে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী ক্যম্পগুলোতে, যাদের বেশির ভাগই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, শরণার্থী শিবিরে বর্তমানে ৪ লাখ ৫০ রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজারই নতুন রোহিঙ্গা। এসব শিশুর মধ্যে আবার গার্জিয়ান বিহীন ৩৬ হাজার ৩৭৩ শিশুও রয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার পেগনেন নারীও আছেন। পালিয়ে আসা শিশু শরণার্থীদের বাইরেও প্রতিদিন যোগ হচ্ছে প্রায় ১০০ নবজাতক শিশু। 
ঢংশকর ওই অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিবেকহীনভাবে গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের মতো কঠিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রকাশকরছে, রাখাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


BD Google News/BC Sarker

0 comments